কেনিয়ার একটি গ্রাম রাতে অন্ধকার থাকে। কোথাও কোনো আলো নেই। বিদ্যুৎ না থাকায় পড়াশোনা নিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়ে শিক্ষার্থীরা। ভোক্তভোগী গ্রামবাসীদের জন্য এগিয়ে আসেন কেনিয়ার জন মাগিরো। যিনি বিদ্যুৎহীন জীবন নিয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়ার এক পর্যায়ে নিজেই নিজের বাড়ির জন্য, সেইসাথে তার গ্রামবাসীর জন্য ছোট একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করেন।
তার কয়েক’শ প্রতিবেশিকে তার তৈরি করা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছেন। তার এই সহযোগিতার জন্য সবার কাছে সম্মানীত মাগিরো। জানা যায়, ২১ বছর বয়সে তার গ্রামে বিদ্যুহীন জীবনযাপন নিয়ে ব্যাপকভাবে অতিষ্ট হয়ে পড়েন এই যুবক। তখন তিনি ফেলে দেয়া লোহালক্কর ও পুরনো সাইকেলের যন্ত্রাংশ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান এবং নিজেই চেষ্টা করেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের।
কেনিয়ার গ্রামের ছেলে জন মাগিরো বলেন, আমি আবিষ্কার করি যে, সাইকেল ডায়নামো ব্যবহার করে আমি আমার গ্রামের অন্ধকার দূর করার চেষ্টা করছি। প্রথমে ডায়নামো ০.৫ ওয়াট বিদ্যুৎউৎপাদন হতো যা আমার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তারপর তিনি পুরনো গাড়ির আল্টারনেটর, চুম্বক এবং যন্ত্রংশ ব্যবহার করেন।
এছাড়া স্থানীয় নদীর পানি ব্যবহার করে জেনারেটর চালান। ক্রমেই বিদ্যুৎ নেটওয়াক বড় হচ্ছে। বর্তমানে ৭৫০ জনের জন্য পর্যাপ্ত হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যে গ্রামটিতে আগে কেরোসিনের কুপি ব্যবহার করতো এখন তারা সবাই বিদ্যুতের আলো দেখছেন গ্রামের ছেলে, উদ্বাবক জন মাগিরোর কল্যাণে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।